অগ্রদৃষ্টি ডেস্ক:: নিজের নামে বেশ কয়েকটি ভুয়া ফেইসবুক পেইজ নিয়ে বিপাকে রয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। অন্যদিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সমালোচনার মুখে পড়েছেন, নিজের ফেইসবুক পেইজ সার্বক্ষণিক আপডেট হওয়া নিয়ে। সরকার ফেইসবুক বন্ধ করে দেওয়ার পরেও এসব পেইজ প্রতিনিয়তই আপডেট হচ্ছে, যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে। তারানা হালিম বলেন, “আমার নামে চার থেকে পাঁচটি ফেইক পেইজ রয়েছে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি এ তথ্য দিয়েছে। যেসব পেইজে এসব পোস্ট করা হচ্ছে তা আমার পেইজ নয়।” তার নামে ওই ভুয়া ফেইসবুক পেইজগুলোর দেশের বাইরে থেকে পরিচালিত হওয়ায় সেগুলো বন্ধ করা যায়নি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এই পেইজগুলোর অ্যাডমিন দেশের বাইরে। সেখান থেকেই তারা বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট করছে, তারা জামায়াত-শিবির। “আমার একটিমাত্র পেইজ রয়েছে তারানা হালিম।” ফেইসবুক বন্ধ করে দেওয়ার পর এই পেইজ আপডেট হয়নি হয়নি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওই দিনই পেইজটি ইনঅ্যাকটিভ করা হয়েছে। ফেইসবুকে বাংলায় লেখা তিনটি পেইজ রয়েছে, যার মধ্যে দুটি ‘তারানা হালিম, এমপি’ নামে ও আরেকটি ‘এডভোকেট তারানা হালিম’ নামে। এছাড়া তার নামে ইংরেজিতে দুটি পেইজ রয়েছে। এই পাঁচটি পেইজের কোনোটিই তার নয় বলে দাবি করছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা। ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো চুক্তি না থাকায় আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ে অভিযোগ জানালেও ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে সাড়া দেয় না বলে সরকার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। ফেইসবুক পেইজ সার্বক্ষণিক আপডেটেড থাকায় সামালোচনার মুখে পড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দাবি, তার টুইটার অ্যাকাউন্টে দেওয়া ওইসব পোস্ট স্বয়ংক্রিয় ফিড হিসেবে ফেইসবুকে আপডেট হয়েছে। পলক বলেন, “যেদিন থেকে ফেইসবুক বন্ধ করা হয়েছে, সেদিন থেকেই আমার ফেইসবুক অ্যাকাউন্টও খোলা হয়নি। “ফেইসবুক পেইজে যেসব আপডেট দেওয়া হয়েছে, তা টুইটারের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। আমার শেয়ারগুলো দেখলে বোঝা যাবে সেখানে অবশ্যই টুইটারের চিহ্ন থাকবে।” বিকল্প পথে ফেইসবুক ব্যবহারের বিষয়টি জানা থাকলেও তা কখনো ব্যবহার করেননি বলে জানান প্রতিমন্ত্রী পলক। “পেইজে শেয়ার দেওয়া মানে এই নয় যে, আমি ফেইসবুক ব্যবহার করছি। প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী প্রযুক্তি জানে- এটা বুঝতে হবে।” গত ১৮ নভেম্বর থেকে ফেইসবুকসহ কয়েকটি যোগাযোগ অ্যাপ বন্ধ করার পর বাংলাদেশে অনেক ব্যবহারকারী ‘বিকল্প পন্থায়’ তা ব্যবহার করছেন। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বন্ধ করা হলেও কবে নাগাদ এ মাধ্যমগুলো খুলে দেওয়া হবে তা এখনো নিশ্চিত করেনি সরকার। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানোর পর তার উত্তরে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় এ সামাজিক যোগাযাগের মাধ্যম। আগামী ৬ বা ৭ ডিসেম্বর ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার কথা রয়েছে বলে তারানা হালিম জানিয়েছেন। তবে এই চিঠির সঙ্গে ফেইসবুক খুলে দেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলেই খুলে দেওয়া হবে।” তবে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে পলক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বন্ধ থাকা ফেইসবুক ‘খুব অল্প সময়ে’ খুলে দেওয়া হবে।